মো. নুরুল করিম আরমান, লামা প্রতিনিধি:
বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলায় অবৈধভাবে আসা আরো ১৭টি বিদেশি গরু আটক করেছে ৫৭ বিজিবি’র সদস্যরা। উপজেলার কুরুকপাতা ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি মিরিন চর পয়েন্টে চোরাচালানিদের কবল থেকে এসব গরু আটক করা হয়। আটক গরুগুলোর মূল্য প্রায় ২২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা হবে বলে ধারণা করা হয়েছে। বিজিবি কর্র্তৃক প্রকাশিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য পাওয়া গেছে। বুধবার বিকাল পর্যন্ত আটক গরুগুলো বিজিবি’র হেফাজতে রয়েছে এবং পরবর্তী আইনী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, ত্রি-দেশিয় একটি চক্র সীমান্তে চোরাচালান কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। সম্প্রতি কোরবানীর মৌসুমকে সামনে রেখে গরু বাজারজাতে বাংলাদেশকে টার্গেট করে চক্রটি। এ ধারাবাহিকতায় ভৌগোলিকভাবে অনুকূল হওয়ায় থাইল্যান্ড থেকে অবৈধভাবে গরু মিয়ানমার হয়ে আলীকদম-নাইক্ষ্যংছড়ির পাহাড়ি সীমান্ত পথ অতিক্রম করে বাংলাদেশে এনে বিক্রির জন্য মওজুত করা হয়েছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকেলে ৫৭ বিজিবি’র অধিনায়কের নেতৃত্বে ৪০ সদস্যের একটি দল মেরিন চর নামক স্থানে অভিযান চালায়। অভিযানের টের পেয়ে চোরা কারবারিরা গরু রেখে গা ঢাকা দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে ১৭টি থাইল্যান্ডের গরু আটক করে বিজিবি সদস্যরা। এর আগেও বিজিবি সদস্যরা ৪০টি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে পুলিশ ২৫টি বিদেশি গরু আটক করে নিলামে বিক্রি করে দেন।
এ বিষয়ে আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুবা ইসলাম বলেন, বিজিবি’র পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ১৭ গরু আটকের বিষয়টি জানতে পেরেছি। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ চোরাই পথে থাইল্যান্ড ও মায়ানমার হতে গরু পাচার করছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। গরুগুলো এদেশের নয়, তাই সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গরুগুলো আটক করা হচ্ছে। কোন অবস্থায় অবৈধ চোরাই পথে আসা গরু পাচারের সুযোগ দেওয়া হবেনা। নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।